২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বৃহস্পতিবার

১১ ওভারেই শেষ নিউজিল্যান্ড, সবচেয়ে বড় জয় ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মুম্বাই টেস্টে স্বাগতিকরা যে বিশাল ব্যবধানে জিততে যাচ্ছে সেটা তৃতীয় দিনই একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে। কেবল প্রশ্ন ছিল, কত ব্যবধানে জিতবে ভারত? অবশেষে চতুর্থ দিনে এসে সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে রেকর্ড ৩৭২ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে কোহলি এন্ড কোং। এর মধ্য দিয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিলো ভারত।

এই টেস্টে বলতে গেলে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভারত সংগ্রহ করে ৩২৫ রান। সর্বোচ্চ ১৫০ রান করেন ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল। এছাড়া আক্সার প্যাটেল ৫২, শুভমান গিল ৪৪, সাহা ২৭ ও শ্রেয়াস আয়ার ১৮ রান করেছেন। কিউই বোলারদের মধ্যে একাই ১০ উইকেট নেন স্পিনার এজাজ প্যাটেল।

কিন্তু নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাপক ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ৬২ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছে মাত্র দুই জন ব্যাটার। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন অভিজ্ঞ স্পিনার রবীচন্দ্র অশ্বিন। এছাড়া মোহাম্মদ সিরাজ ৩টি, আক্সার প্যাটেল ২টি ও একটি উইকেট নেন জায়ান্ত যাদব।

তখন বড় লিড নিয়ে আবারও ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা দেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এতে সফরকারীদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৪০ রান। টেস্ট ইতিহাসে এত বিশাল রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড কোনো দলেরই নেই। ফলে কিউইদের হার তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়।

শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। এই ইনিংসেও ৪ উইকেট শিকার করেছে রবীচন্দ্র অশ্বিন। সমান সংখ্যক উইকেট নিয়েছেন জায়ান্ত যাদবও। কিউইদের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৪টি উইকেট শিকার করেন এজাজ প্যাটেল। এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল। এই জয়ের ফলে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এলো ভারত।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।